
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি ৩০ জানুয়ারি তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
দেশে গত মার্চ মাসের গোড়ার দিকে করোনা রোগী শনাক্ত হবার পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ছুটি বহাল ছিল। সেটা এবার ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল।
ওদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
তাছাড়া, করোনার কারণে গত বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে শুরুর দিকেই আইনের সংশোধন করে সর্বোচ্চ ২৮ জানুয়ারির মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন ১৩ জন। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭১৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশের গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। এরপর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ যাবৎ মোট মারা গেছেন ৭ হাজার ৮৬২ জন। আর করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৫ জন। আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৩ জন।
















