
নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী খ্রিষ্টান সন্ত্রাসবাদী ব্রেন্টন হ্যারিসন টারান্ট।
টারান্টের বিরুদ্ধে আদালতে ৫১জন মানুষকে হত্যা, ৪০ জন মানুষকে হত্যার চেষ্টা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একটি অভিযোগসহ মোট ৯২টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে টারান্ট।
ক্রাইস্টচার্চ কারাগার থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে হাইকোর্টে হাজিরা দেয় টারান্ট।
এ বছরের ১৫ই মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজ চলার সময় চালানো ঐ হামলায় পাঁচজন বাংলাদেশীসহ ৫১ জন নিহত হয়েছিলেন।
নিউজিল্যান্ডে এই প্রথম কারো বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হলো।
কী প্রতিক্রিয়া আদালত কক্ষে?
হামলা থেকে বেঁচে যাওয়াদের কয়েকজন এবং নিহতদের স্বজনেরা শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
খ্রিষ্টান সন্ত্রাসবাদী টারান্টের আইনজীবী যখন নিজেকে নির্দোষ দাবী করে তার মক্কেলের দেয়া বিবৃতি পড়ে শোনান, আদালত কক্ষে তখন উচ্চ কক্ষে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
অনেকে ডুকরে কেঁদে ওঠেন।
এপ্রিলে যখন টারান্ট আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন, তাকে মানসিক চিকিৎসা নেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এখন আর তার সুস্থতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন বিচারক।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে টারান্টের ছবি প্রকাশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হামলার পরই গ্রেপ্তার হন টারান্ট, এরপর ১৬ই মার্চ তাকে প্রথম আদালতে হাজির করা হয়।
হামলার সময় মাথায় স্থাপন করা ক্যামেরা দিয়ে মসজিদে হামলার পুরো ঘটনা সরাসরি ইন্টারনেটে প্রচার করছিল ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক খ্রিষ্টান সন্ত্রাসবাদী টারান্ট।
















