জুরাইনে কলে পানি না থাকলেও রাস্তায় পানি থাকে

0
715

একটু বিশুদ্ধ খাবার পানি আনতে জুরাইনের মানুষদের প্রতিদিন ছুটতে হয় কিলোমিটার দুরত্বে। স্থানীয় মসজিদগুলোই এখন একমাত্র খাবার পানির উৎস। সেখানেও দেথা গেছে দুর্ভোগ। পানির চাহিদা বেশি থাকায় কখোনো কখোনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে পানি নিতে হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল।

পেশায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি শাকিল (৩৫) বলেন, আমরা ওয়াসার বিল দেই কিন্তু পানি ব্যবহার করতে পারি না। বিভিন্ন জায়গায় পানির লাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ড্রেনের ময়লা মিশে যায় ওয়াসার পানিতে। এতে ওই পানি আর ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। এই এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।

বছর জুড়ে জলাবদ্ধতার কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই এলাকার পানিবন্দি মানুষ এখন অসহায়। স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে ধরনা দিতে দিতে তারা এখন ক্লান্ত। এখন তাদের ভরসা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তাছাড়া এর সমাধান দেখছেন না তারা।

স্থানীয় বাজারের সাইফুল স্টোরের মালিক সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যখন পানি বেশি হয় তখন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, ডিএনডি বাঁধ সংস্কার এবং ভেতরের জলাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে গত বছরের ৯ই আগস্ট ৫৫৮ কোটি টাকার ৩ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্পের অনুমোদোন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক)। তবে এখনো এর কাজ শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ (৬৫) বলেন, ২৮ বছর আগে যখন এই এলাকায় বাড়ি করি, কল্পনাও করিনি যে এখানে এই পরিস্থিতি হবে। এখন বাড়িঘর বেশি হয়েছে, মানুষের বাসা বাড়ির বর্জ্য বের হওয়ার জায়গা নেই। সেচ প্রকল্পের যে খাল ছিলো তাও এখন স্থানীয় রাজনীতিবিদদের দখলে চলে গেছে। ফলে পানি বের হওয়ার পথ না থাকায় এমন জলাবদ্ধতা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার বাড়িতে এখন আর থাকতে পারিনা। আমি একতলা করে সেখানেই থাকতাম। উপরে আর করা হয়নি। এখন সেখানে সব পানিতে তলিয়ে আছে। বর্তমানে পাশের বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকেন বলে জানান আব্দুল্লাহ।

আব্দুল্লাহ আরো বলেন, আমরা শুনেছি প্রধানমন্ত্রী পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩ বছরের একটি প্রজেক্ট দিয়েছেন। এখন সিটি করপোরেশন, ওয়াসা এবং সেনাবাহিনী কাজটা ভালো ভাবে করে দিলেই হয়।

আপনার মতামত দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here